মিশরের চার হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসের শহর লাক্সারে(থিবেস) লাক্সার মন্দির, ভ্যালি-অফ-কিংস, হাটশেপসুট মন্দির, কলোসাই-অফ-মেমনন, কারণাক মন্দির এসব দেখা শেষ করে, আমরা আজ চলেছি হালে ১৯৮০র দশকে গড়ে ওঠা লোহিত সাগরের প্রায় শেষ প্রান্তে সুয়েজ উপসাগরের মুখে সমুদ্রপাড়ের প্রমোদনগরী এই হুরঘাদায়। বিকেল চারটেয় রওনা দিয়ে ৩০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যখন হুরঘাদার পাঁচ তারা হোটেল এ.এম.সি.রয়াল এর সামনে পৌছালাম তখন দেখি রাত ৯টা বেজে গেছে।  সামনেই বিশাল রিসেপসান লবিটি নানারকম মিশরীয় স্থাপত্যে দারুণভাবে সাজানো আর আলো ঝলমল করছে। চারপাশে সোফায় প্রচুর লোকজন বসে। পাশপোর্ট দেখিয়ে চেক-ইন ফরম্যালিটি শেষ করতে করতে সাড়ে নটা বেজে গেল। হোটেলে নিজের ঘরে ঢোকার আগে চারদিকটা একটু ঘুরে দেখে নিলাম। এই এ.এম.সি.রয়াল হোটেল, হুরঘাদার অসংখ্য পাঁচ তারা হোটেলগুলোর মধ্যে গত বছর সেরার মর্যাদা পেয়েছে। এখন রাত হয়ে গেছে, তাই আর দেরী না করে ঘরে চেক-ইন করে, দশটার মধ্যে ডাইনিং হলে গিয়ে ডিনার করে নিলাম।     

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, সামনের লবিতে বেরিয়ে হোটেলের পেছন দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো হুরঘাদার সমুদ্র, চারপাশে খেজুর গাছের ফাঁক দিয়ে, পেছনে দেখা যাচ্ছে, ঘন নীল লোহিত সাগর। হোটেলের সামনেটা দেখে গত রাত্রে বোঝা যায়নি হোটেলটা এত বড়। আর এর মধ্যের চত্তরটায় তৈরি হয়েছে একটা বেশ বড় সুইমিং পুল আর ওপেন এয়ার জিমনাশিয়াম। আর তার চারপাশেটা নানা রকম ফুলগাছে আর মিশরীয় স্থাপত্য আর মূর্তি দিয়ে সাজানো। রয়েছে স্পিংস, ওবেললিস্ক, পিরামিড এসবের মডেলও। আর পুলের সামনে প্রচুর চেয়ার পাতা। সামনের সিড়ি দিয়ে নেমে আমরা ওই সুইমিং পুলের পাশে গিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি, হোটেলের নিচে পুলের সামনে স্পা এর সাইনবোর্ড। আর পাশে রয়েছে ইটালিয়ান রেস্তোঁরা সীজার। পাশ দিয়ে হেঁটে এগিয়ে গিয়ে সমুদ্র সৈকতের  সামনে পৌঁছলাম। সামনেই বালির মধ্যে প্রচুর সানবাথিং করার জায়গা করা রয়েছে। শুয়ে বসে আরাম করার জন্য পাতা রয়েছে নানারকম প্রচুর চেয়ার। আছে পাকাপাকি ঢালাই করা ছাতা, য়ার মাঝের সাপোর্টের দণ্ডটির চারপাশে বাঁধানো বসার জায়গা। সেখানে প্রচুর নারী পুরুষ, সবই প্রায় সাদা,  শুয়ে বসে রোদ্দুর পোয়াচ্ছে। বিচে নামার আগে সামনে ডান পাশে দেখা গেল একটি মাঝারি সাইজের অ্যাকোয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সাইনবোর্ড দেকে দেখা গেল, এখান থেকে নানারকম ওয়াটার অ্যাকটিভিটি,  যেমন ডলফিন ওয়াচিং, স্নরকেলিং এসব করা যায়। এছাড়া এখান থেকে কাছাকাছি গিফতান দ্বীপ,  ইউটোপিয়া দ্বীপ এসব ঘুরতে যাওয়া যায়। অবশ্য সেখানে যেতে হলে আলাদা টিকিট কেটে যেতে হবে। সেখানে প্যারা গ্লাইডিং আর প্যারা সেলিংএর ব্যবস্থাও রয়েছে। আর একটু এগিয়ে সামনে গিয়ে দেখা গেল,  বিচের মধ্যে একটা বেশ লম্বা লোহার পায়ার, প্রায় পাঁচ ছ শো মিটার হবে,  চলে গেছে সমুদ্রের মধ্যে। এখন, এই সকালে, আজ এখানে দারুণ ঠান্ডা হাওয়া বইছে। তাই আমরা এখন আর বিচের মধ্যে না গিয়ে এখান থেকেই দেখে ফিরে এলাম ব্রেকফাস্ট করতে। কালরাত্রে ঠিক হয়েছিলো, আজ সকালে আমাদের ব্রেকফাস্টের পর সাবমেরিন ট্রিপে আন্ডার-সি ওয়ার্লড দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে গাইড আজ ব্রেকফাস্টের সময় বললো, আজ সকালে এই ট্রিপটা করা যাবে না। তার বদলে, লাঞ্চের  পর, দুপুর দুটোর সময় এই ট্রিপের ব্যবস্থা করবে। এখন আর কিছু প্রোগ্রাম নেই। তাই অগত্যা আমরা ব্রেকফাস্ট করে হোটেল থেকে বার হয়ে আশপাশটা ঘুরে দেখতে বেরুলাম।

হোটেলের সামনের রাস্তাটা টু ওয়ে। মিশরে রাস্তায় যাতায়াত আমাদের দেশের মত নয়,  বরং উল্টো। যাবার রাস্তা ডান দিক দিয়ে। দুপাশের রাস্তাই বেশ চওড়া আর ঝকঝকে। দুপাশে সুন্দর কেয়ারি করে ট্রিম করা খেজুর গাছের সারি। আর মাঝের ডিভাইডারটা ফুট চারেক চওড়া, ফুল গাছে ভর্তি। আমরা হোটেল থেকে বেরিয়ে ডান দিকে, ফুটপাথ ধরে হাঁটতে লাগলাম। দুপাশে পরপর ঝাঁ চকচকে পাঁচতারা হোটেল। আর দারুণ সাজানো গোছানো। আর হোটেলগুলোর বেশ কয়েকটির নাম একই, হাওয়াই। হয়তো একই মালিকানার, বা একই গ্রুপের হোটেল। ডান দিকে দুটো হোটেলের মাঝ দিয়ে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে। একটু এগিয়ে সামনে বাঁদিকে দেখা গেল একটা বেশ বড় তিনতলা শপিং মল। আর তার নামটিও বেশ আকর্ষণীয়,  থ্রী পিরামিডস শপিং মল, অনেকটা কলকাতার সাউথ সিটির মত। আর তারপরে একটা মসজিদ। বিশেষ কোনো কাজ না থাকায়, আমরা ঢুকে পড়লাম মলের ভেতর।  সেখানে মিশরের নানা রকমের ঘর সাজানোর জিনিষ এবং কিউরিওর বিপুল সম্ভার। সাধারণ পাথর, র্বেল, ওনিক্স, আলাবাস্টার,  রঙ্গীন পাথর এসবের তৈরি হরেক রকম জিনিষ বিক্রি হচ্ছে এখানে। মিশরের নানারকম দেবদেবীর ক্লাসিক মূর্ত,  প্লেক, পিরামিডের মডেল সবই। আর সব বেশ ভালো কোয়ালিটির। মনে হচ্ছে, যত রকম কিউরিও হতে পারে সেসবই এখানে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের বিশেষ কিছু কেনার নেই তবু খুব পছন্দ হওয়াতে আমরা শিয়াল দেবতা অনুবিস মমি তৈরি করছে এরকম একটি মূর্তি, একটি ম্যাগনেট, আর রাজা তুতানখামুন এবং তাঁর রানীর ছবি দেওয়া একটি সুন্দর কাপ কিনলাম। পাশেই একটা বিভাগে প্যাপিরাস কাগজের ওপর আর্টিস্টদের হাতে আংকা নানারকম ছবি বিক্রি হচ্ছে। একটা ছবি বেশ পছন্দ হল। আবু সিম্বেল মন্দিরের সামনের বেশ সুন্দর করে আঁকা চারটি মূর্তির ছবি। তাছাড়া, ছবিটার আর একটা বিশেষত্ব রয়েছে। অন্ধকার করে পেছনে হালকা আলো জালালে এই ছবিটা পাল্টে গিয়ে এর মধ্যে অন্য আর একটা ছবি ফুটে ওঠে। দাম একটু বেশী হলেও কিনে ফেললাম ছবিটি। বাড়িতে বাঁধিয়ে রাখবো। এরপর হোটেলে ফিরে এলাম।

দুপুরে খাওয়া দাওয়ার এলাহী বুফে ব্যবস্থা। মনে হয়, এমন কিছু নেই যা এদের মেনুতে নেই। তবে পেটের মাপ তো একই। তাই পছন্দমত নানারকম পদ সহয়োগে লাঞ্চ শেষ করলাম। এরপর দুটো নাগাদ একটা ছোট গাড়িতে করে রওনা দেওয়া হল আন্ডার-সি ওয়ার্লড দেখতে। আধঘন্টা পর আমরা বাকিরা পৌঁছোলাম এক হারবারের সামনে। সামনে উন্মুক্ত রেড সির বুকে এক লন্চ ঘাট। প্রচুর লন্চ, বিভিন্ন মাপের, রঙের এবং টাইপের, সেখানকার ঘাটে দাঁড়িয়ে। গাড়ি থেকে নেমে আমাদের ওঠানো হল একটা বড় লঞ্চে । চারপাশে নানা রকম সামুদ্রিক ছবি আর সোফা দিয়ে বেশ সাজানো ভেতরটা। আমরা সকলে সেখানে বসার পর, লঞ্চ ছেড়েদিলো, একটু পর গিয়ে পৌঁছোলো সমুদ্রের বেশ গভীরে। এবার আমাদের সকলকে বলা হল, ওপরের তল থেকে নিচের তলে নেমে গিয়ে বসতে। সেই মত নিচের তলে নেমে দেখা গেল, সেই তলের দুপাশটাতে স্বচ্ছ কাঁচ লাগানো, আর সেই কাঁচের বাইরেটা সমুদ্রের জলের তলায় রয়েছে। সেই কাঁচের দেওয়ালের সামনে পরপর একটা করে গদি দেওয়া বসার টুল মেঝের সঙ্গে ফিক্সড করা। আমরা সবাই গিয়ে সেইরকম এক একটা টুলে বসার পর, লঞ্চ আবার ছেড়ে দিলো, আর একটু পরে তা গিয়ে পৌঁছোলো সমুদ্রের আরো গভীরে। এবার সামনে কাঁচের ভেতর দিয়ে চারপাশের জলে নানারকম রঙ, সাইজ ও শেপের মাছের ঝাঁকের দেখা পাওয়া যেতে লাগলো। আর লঞ্চ চালক কায়দা করে লঞ্চটিকে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে চালানোয়, লঞ্চের চারপাশের জলে বেশ নাড়াচারা পড়ছে। ফলে চারপাশের মাছগুলোর মধ্যে একটা হুটেপাটির ভাব দেখা গেল। চারপাশে পরিস্কার নীল জলের মাঝে অনেক রকম মাছ, ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর দেখা পাওয়া যেতে লাগল। একটু পরে কাঁচের মধ্যে দিয়ে প্রচুর কোরালের দেখা পাওয়া যেতে লাগলো। ধুসর, হলুদ, সবুজ, নানা রঙের কোরাল দেখতে দেখতে লঞ্চ এগিয়ে চলেছে। এভাবে খানিক সময় দেখার পরে, আমাদের সকলকে ওপরে উঠে পড়তে বলা হল। দেখা গেল, সেখানে আর একটি লঞ্চ একদম পাশে লেগে গেছে। আমরা উঠে পাশের লঞ্চে যাবার পর সেটি ছেড়ে দিলো। এই লঞ্চ থেকে স্নরকেলিং ও স্কুবা ডাইভিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। দেখা গেল, সেখানে আগে থেকেই বেশ কজন দর্শক রয়েছে। আমাদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই এই স্নরকেলিং ও স্কুবাডাইভিং করতে গেছে। এরপর একজন ইয়ং মহিলা মাইক নিয়ে নাচ করতে করতে গান শুরু করলো। আর তার চারপাশে চার পাঁচজন লোক সিন্থেসাইজার, ড্রাম, ব্যান্জো ও আরো নানারকম বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সঙ্গত করতে লেগে গেলো। এভাবে প্রায় মিনিট চল্লিশ কেটে যাবার পর স্কুবাডাইভিং করতে যাওয়া লোকগুলি লঞ্চে ফিরে এলো। এরপর গানবাজনাও শেষ হল। বাইরে সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ছে। এরপর একটু গিয়ে আবার এই লঞ্চ আগের লঞ্চের পাশে দাঁড়ালো। আমরা সেই প্রথম লঞ্চে উঠে জেটিতে ফিরে এলাম। এরপর আবার সেই ছোট গাড়িতে করে আমাদের হোটেলে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।

ফিরে আমরা রিসেপসান লাউঞ্জে বসলাম। একপাশে একটু উচু ছোট একটা স্টেজ করা রয়েছে। সেখানে কয়েকজন ব্যান্ডবাদক হাতে গিটার নিয়ে মাইকে মুখ রেখে নানা রকম গান করছে। সঙ্গে আরো কয়েকজন সঙ্গতকারি বাজনাদারও রয়েছে। আর একপাশে ছোট একটি বার। সেখানে স্ন্যাক্স, চা, কফি আর কোল্ড ড্রিঙ্কস ছাড়াও বিয়ার হুইস্কি এসব পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ওখানে গিয়ে দাড়ালেই,  কাউন্টারের লোকটি কি নেবেন জিঙ্গাসা করছে। অনেকেই মনের সুখে কফ,  বিয়ার, হুইস্কি, ভদকা, এসব যার যা পছন্দ নিয়ে নিচ্ছে। শেষ হয়ে গেলে আবার গিয়ে নিয়ে আসছে। পাসেই একটা ডান্স করার জায়গা। উপস্থিত অনেকেই সেখানে গিয়ে সেই গানের তালে তালে নাচছে। এভাবে গানে, গল্পগুজবে ঘন্টা দুই কেটে যায়। এরপর নটা নাগাদ ডাইনিং হলে গিয়ে ডিনার সেরে নিলাম। 

পরদিন সকালে উঠে বাইরে বেরিয়ে দেখি, আজ হাওয়াটা একটু কম। তাই ব্রেকফাস্টের পর চললাম হোটেলের পেছনদিকে সমুদ্রের বিচে। বিচের ডানদিকে দেখা যাচ্ছে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছে আর তারা প্যারা সেলিং আর প্যারা গ্লাইডিং করছে। কনকনে ঠাণ্ডা জল, আর হালকা হাওয়া, আর তারই মাঝে সুইমিং সুট পরে প্যারাসুট উড়িয়ে আর ক্যানোয় চেপে, প্রচুর নারী পুরুষ এই সমুদ্রের ঠাণ্ডা জলে উৎসবে মেতেছে। সামনেই বেশ লম্বা লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি পায়ার, হয়তো পাঁচ-ছ শো মিটার লম্বা হবে, চলে গেছে সমুদ্রের মধ্যে। কাল ঠাম্ডা হাওয়ায় যেতে পারেনি কেউ। এখন দেখলাম, সেই পায়ারটা আজ প্রচুর টুরিস্টে ভর্তি। বিচটা ধনুকের মত বেঁকে গেছে। আমরা পায়ারে উঠে হেঁটে চললাম তার শেষ অবধি। দেখা গেল মাঝে মাঝে পায়ার থেকে সিড়ি নেমে গেছে সমুদ্রে নামার জন্য। আর বেশ কিছু বিদেশী নারী পুরুষ সুইমিং কস্টিউম পরে  সেখানে স্নানও করছে। আবার অনেকে মাছও ধরছে। এই পায়ারের ওপর রাস্তার মাঝে মাঝে দাঁড়ানের জন্য জায়গা করা রয়েছে, রয়েছে বসার জায়গাও। শেষ অবধি পৌঁছে, পেছন ফিরে বিচটা দেখতে দারুণ সুন্দর লাগছে। পর পর সুন্দর পাঁচতারা হোটেল, আর,   পেছনে তাদের নিজস্ব বিচ। দুপাশে বিচ দুর অবধি দেখা যাচ্ছে। বেশ মনোরম লাগছে এই ঠাম্ডার মধ্যে সমুদ্রের মাঝে বসে রোদ্দুর পোয়াতে। ভাবছি, আজ একটু পরে চলে যেতে হবে এই জায়গাটা ছেড়ে, আর হয়তো কখোনোই এখানে আসা হবে না। প্রায় বেলা বারোটা বাজছে। আমরা এবার ফিরে চললাম হোটেলে। এরপর লান্চ সেরে আমরা তৈরি। লাগেজ বাসে তোলা হলে,  আমরা বাসে উঠে বসতে, সেটি রওনা দিলো কায়রোর উদেশ্যে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

কী ভাবে যাবেন

মিশরে গিয়ে প্রথমে যেতে চাইলে, কায়রো থেকে সোজা হুরঘাদায় যেতে হবে। দুরত্ব ৪৬২ কিলোমিটার। সরাসরি গাড়িতে গেলে সাড়েপাঁচ থেকে ছ ঘন্টা মত সময় লাগবে। তবে সাধারণতঃ গ্রুপ টুরেই বড় বাসেই এখানে যাওয়া হয়। আর আসোয়ান লাক্সার ঘুরে আসতে চাইলে লাক্সার থেকে আসতে হবে। সেখান থেকে হুরঘাদার দুরত্ব ৩০০ কিলোমিটার, যেতে ঘন্টা চারেক লাগবে।

কোথায় থাকতে পারেন

এ.এম.সি. রয়াল হোটেল হুরঘাদা। এখানে সবকিছুর ব্যবস্থাই এককথায় অসাধারণ। মিশরের রেড সির পারে, নতূনভাবে গড়ে ওঠা সমুদ্রপারের প্রমোদনগরী হুরঘাদায় নির্মিত গোটা কুড়ি হোটেলের বেশীরভাগ হোটেলই চার পাঁচ তারা। এবং এখানকার সমুদ্রে নানারকম সি স্পোর্ট অ্যাকটিভিটি এবং নানারকম আমোদ প্রমোদই এখানকার মূল আকর্ষণ।

ছবি : প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় । পিক্সাবে

LET’S KEEP IN TOUCH!

We’d love to keep you updated with our latest news and offers 😎

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.